অনুষ্ঠানের মুক্ত আলোচনায় র্যাবের উইং কমান্ডার জাকির হোসেন বলেন, জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে হিযবুত তাহ্রীর তাঁদের শঙ্কিত করে তুলেছে।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচালক কর্নেল টি এম জোবায়ের বলেন, হিযবুত তাহ্রীরের মতো সংগঠনগুলোতে দেশের অভিজাত পরিবারের শিক্ষিত ও আধুনিক সন্তানেরা যোগ দিচ্ছেন। তাঁরা রাস্তায় নামছেন, জেল খাটছেন। হিযবুত তাহ্রীরের সদস্য সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচালক কর্নেল টি এম জোবায়ের বলেন, হিযবুত তাহ্রীরের মতো সংগঠনগুলোতে দেশের অভিজাত পরিবারের শিক্ষিত ও আধুনিক সন্তানেরা যোগ দিচ্ছেন। তাঁরা রাস্তায় নামছেন, জেল খাটছেন। হিযবুত তাহ্রীরের সদস্য সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে।
গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিইআইর পরিচালক (গবেষণা) ফায়েজ সোবহান। এতে বলা হয়, জরিপে নির্ধারিত প্রশ্নপত্রের উত্তরদাতাদের ৮১ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন, সন্ত্রাসবাদ তাঁদের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি। ২২ দশমিক ৯ শতাংশ মনে করেন, বাংলাদেশ আরও অনিরাপদ হচ্ছে। আর সন্ত্রাসবাদের কারণ হিসেবে ৬৮ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, ইসলামের ভুল ব্যাখ্যার কারণে এ রকম হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষণায় অংশ নেওয়া শতকরা ৮৭ ভাগ উত্তরদাতা মনে করেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা খুবই নাজুক এবং তা পর্যাপ্ত নীতি-নৈতিকতার জ্ঞান দিচ্ছে না। মাদ্রাসাকে সন্ত্রাসবাদের জন্মক্ষেত্র হিসেবে অনেকে দায়ী করেন, বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসা। অনেকগুলো কওমি মাদ্রাসা গণতন্ত্রের ধারণাগুলোর বিরুদ্ধমতের নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং চরমপন্থায় যোগ দেওয়ার প্রাথমিক বাহন হিসেবে কাজ করছে। ওই মাদ্রাসাগুলোতে শুধু কোরআনের শিক্ষা দেওয়া হয়, কোনো আধুনিক বা অসাম্প্রদায়িক শিক্ষা দেওয়া হয় না। অনেক ক্ষেত্রেই এসব মাদ্রাসাশিক্ষিত ব্যক্তিরা মনে করেন, শুদ্ধ ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্যই তাঁরা পৃথিবীতে এসেছেন।
গবেষণায় দেশে সাতটি জঙ্গি সংগঠনের কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হলো: হিযবুত তাহ্রীর, জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি), জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি), হরকাতুল জিহাদ, লস্কর-ই-তাইয়েবা, জইশে মুহাম্মদ এবং ইসলাম ও মুসলিম।